চলতি সালের ডিসেম্বরের আগেও নির্বাচন হতে পারে: আমির খসরু
ঢাকা, ১৬ এপ্রিল, ২০২৫ (বাসস): বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, দেশের সকল রাজনৈতিক দল নিজ-নিজ দলের প্রস্তাবগুলো ‘ঐকমত্য কমিশনে’ জমা দিয়েছে। ১৫ থেকে ২০ দিন বা সর্বোচ্চ এক মাসের মধ্যে এসব প্রস্তাব দেখে এ বিষয়ের সমাপ্তি ঘটিয়ে চলতি বছরের ডিসেম্বরের আগেও নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে।
আজ বুধবার বিকেলে বাংলাদেশে সফররত যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক উপ-সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিকোল চুলিকের সঙ্গে বিএনপি’র বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে তিনি একথা বলেন। ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন ডেপুটি রাষ্ট্রদূতের গুলশানের বাসভবনে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বিএনপি’র পক্ষে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ বৈঠকে নেতৃত্ব দেন।
আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, নির্বাচন ডিসেম্বরের আগেও হতে পারে। কারণ, এখানে সংস্কারের কথা বলা হচ্ছে। প্রধান উপদেষ্টা নিজেও বলেছেন যেসব বিষয়ে সংস্কারে ঐকমত্য হবে তা সংস্কার করা হবে। এটা খুবই সহজ একটি ব্যাপার।
‘আমরা প্রত্যেকেই প্রস্তাবগুলো জমা দিয়েছি’ এ কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘সেখানে যা ঐকমত্য হবে, আমরা ১৫ থেকে ২০ দিন কিংবা সর্বোচ্চ এক মাসের মধ্যে সেগুলোর সমাধান করে ফেলতে পারি। তারপরে সনদের বিষয়ে যদি ঐকমত্য হয়, সেটা সই করা সময়ের ব্যাপার হতে পারে না। তাই নির্বাচনের রোডম্যাপ না দেয়ার কোনো কারণ থাকতে পারে না।’
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে, আমির খসরু মাহমুদ বলেন, বাংলাদেশের সাথে যুক্তরাষ্ট্রের বিদ্যমান দ্বি-পাক্ষিক সম্পর্ক নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। আলোচনায় অর্থনীতি ও ট্যারিফের বিষয়টিও উঠে আসে।
তিনি বলেন, ট্যারিফ প্রশ্নে ‘আমরা বলেছি, সবাই মিলে ট্যারিফ কিভাবে প্রত্যাহার করা যায় সেবিষয়টি খতিয়ে দেখা উচিত। কারণ, ট্যারিফ সহনীয় সীমার মধ্যে না আনলে আমাদের এক্সপোর্ট ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এটা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।’
আমির খসরু মাহমুদ বলেন, এ বৈঠকে নির্বাচন নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা হয়েছে। বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ফিরে না আসলে দেশে ও দেশের বাইরে যে সিদ্ধান্তগুলো স্থগিত আছে এবং এ সব ব্যাপারে যারা সিদ্ধান্ত নিতে পারছে না তারা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, নির্বাচিত সরকার আসার পরে সিদ্ধান্তগুলো সহজে আসবে, জনগণের সমর্থন নিয়ে সরকারে আসার কারণে ওই সরকারের সিদ্ধান্ত গ্রহন সহজ হবে।
বিনিয়োগকারীদের জন্য সংক্ষিপ্ত কিছু নেই। সিদ্ধান্ত দীর্ঘ, মধ্য ও সংক্ষিপ্ত মেয়াদী হতে পারে। স্বভাবতই সবাই অপেক্ষা করছে, নির্বাচিত সরকারের পলিসি কী হবে।
বিএনপি’র অর্থনীতি পলিসি কি হবে সেটা নিয়েও বৈঠকে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে উল্লেখ করে আমির খসরু মাহমুদ চেীধুরী বলেন, বিগত দিনে যত সংস্কার হয়েছে, তা হয়েছে বিএনপির সময়ে। অর্থনীতির সংস্কারও হয়েছে বিএনপির সময়ে।
তিনি বলেন, রাজনৈতিক সংস্কার বিএনপির সময়ে হয়েছে। বহুদলীয় গণতন্ত্র, মুক্তবাজার অর্থনীতি থেকে শুরু করে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা সব সংস্কারই বিএনপির আমলে হয়েছে।
আমির খসরু মাহমুদ দৃঢ়তার সঙ্গে বলেন, ‘বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সচ্ছলতা আমাদের সংস্কারের কারণে আসছে। আগামী দিনেও আমরা আরো বড় ধরণের অর্থনৈতিক সংস্কারে যাবো।’